পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ




অনলাইন ডেস্ক :বাংলাদেশকে ২৩৯ রানে বেঁধে ফেলে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন। ভেবেছিল এই রান টপকানো তাদের জন্য খুব একটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ দলটি যে বাংলাদেশ, যে কোনো দলের বিপক্ষেই ভালো কিছু করার সামর্থ্য তাদের রয়েছে। সেটা তারা প্রমাণও করেছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে আবার এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে।

আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ ৩৭ রানে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। বাংলাদেশের করা ২৩৯ রানের জবাবে প্রতিপক্ষের ইনিংস থেমে যায় ২০২ রানে।

এ নিয়ে আসরে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১২ ও ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছিল তারা। দু’বার রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাদের।

লক্ষ্য অনেক বড় না হলেও, এদিন পাকিস্তান শুরু থেকেই বেশ চাপে ছিল। দলীয় মাত্র ১৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এর পর চতুর্থ উইকেট জুটিতে কিছুটা দৃঢ়তা দেখান শোয়েব মালিক ও ইমাম-উল হক। দুজনে মিলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন। তখনই মাশরাফির দুর্দন্ত এক ক্যাচে সাজঘরে ফিরেন শোয়েব (৩০)। কিছুক্ষণের মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফিরেন শাদাব খানও (৪)।

পরে ইমাম ৮৩ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলে দলকে কিছুটা এগিয়েও নিয়েছিলেন। তাঁকে যোগ্য সহায়তা দিয়েছিলেন আসিফ আলী (৩১)। কিন্তু দুজনেই ফিরে গেলে আবার বিপদে পড়ে দলটি। এই অবস্থা থেকে আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা।

বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ৪৩ রানে চার উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং ধস নামান। মেহেদী হাসান মিরাজ ২৮ রানে দুটি এবং রুবেল হোসেন, মাহমুদউল্লাহ ও সৌম্য সরকার একটি করে উইকেট পান।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশেরও শুরুটা ভালো হয়নি, দলীয় মাত্র ১২ রানে তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এর পরই চতুর্থ উইকেট জুটিতে মুশফিক ও মিঠুন ১৪৪ রানের জুটি গড়ে দলকে একটা ভালো সংগ্রহের পথ দেখান। মিঠুন ৬০ রান করে ফিরে গেলেও দলকে অনেকটাই এগিয়ে নেন মুশফিক। কিন্তু ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ খ্যাত এই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরির একেবারেই কাছাকাছি গিয়েও ৯৯ রান করে আউট হয়ে যান। অল্পের জন্য ক্যারিয়ারের সপ্তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি।

তবে সেঞ্চেুরি না পেলেও দলকে একটা ভালো সংগ্রহ গড়ে দিতে মূল্যবান অবদান রাখেন মুশফিক। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ ২৫ ও মাশরাফি শেষ দিকে এসে ১৩ রান করেন।

দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে সৌম্য সরকার শূন্য রানে ফিরে গেছেন শুরুতেই। আর মুমিনুল পাকিস্তানি পেসার শাহীন আফ্রিদীর শিকার হয়ে ফেরার আগে করেন পাঁচ রান। লিটন ছয় রান করে আউট হন। বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি ইমরুল কায়েসও (৯)।

এদিনের ম্যাচে সবচেয়ে বড় চমক ছিল বাংলাদেশ একাদশে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের না থাকা। চোটের কারণে বাইরে রাখা হয়েছে তাঁকে। তাঁর বদলে দলে নেওয়া হয় মুমিনুল হককে।

নাজমুল হোসেন শান্তর বদলে দলে সুযোগ পান সৌম্য। পেসার রুবেল হোসেন ফিরেন নাজমুল ইসলাম অপুর জায়গায়।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD